সপ্তাহের তৃতীয় দিনে, GBP/USD পেয়ারও স্পষ্ট দুর্বলতা এবং অস্থিরতার সাথে ট্রেড করেছে। মূল্য ট্রেন্ড লাইনের নীচে অবস্থান করছে, কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে সাইডওয়েজ মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে। যেখানে ইউরো অন্তত ঊর্ধ্বমুখী সংশোধনের চেষ্টা করে, পাউন্ডের এমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে। সাধারণত পাউন্ড স্টার্লিং প্রায়ই সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি দ্বারা প্রভাবিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, আজকে জিডিপি এবং শিল্প উত্পাদনের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, যার প্রত্যেকটি সবচেয়ে নিম্নমুখী পূর্বাভাসের চেয়েও নিম্নমুখী ছিল। এমন পরিবেশে কীভাবে ব্রিটিশ মুদ্রার প্রবৃদ্ধি আশা করা যায়?
যাইহোক, এটি এমন কিছু যা আমরা বেশ কিছুদিন ধরে জোর দিয়েছি বলেছি: পাউন্ডের দীর্ঘায়িত এবং উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখতে পাওয়ার কারণ নেই। যেমন, আমরা যে কোনো পরিস্থিতিতে এর দরপতনের প্রত্যাশা করছি। আজকের মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের প্রভাবে ব্যাপক অস্থিরতার দেখা গিয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত, এর কোন বাস্তব প্রভাব ছিল না। এই পেয়ার সাইডওয়েজ ট্রেডিং চালিয়ে যাচ্ছে, এবং মূল্যের স্বল্প অস্থিরতা চিহ্নিত করা হয়েছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্টবুধবার, 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, এই পেয়ারের মূল্য সারাদিন 1.2457-1.2488 জোনের আশেপাশে স্থির ছিল৷ ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের প্রথম দিকে, মূল্য এই রেঞ্জে নীচে এবং আমেরিকান সেশনের শুরুতে এটির উপরে স্থির হওয়ার চেষ্টা করেছিল। প্রযুক্তিগতভাবে, এই দুটি সংকেতই ছিল: একটি বিক্রি করা এবং একটি কেনার জন্য। যাইহোক, এগুলোর উপর কাজ করা অর্থহীন হয়ে যেত। উভয় ক্ষেত্রেই, স্টপ লস সেট করার জন্য 30-40 পয়েন্ট রেঞ্জের প্রয়োজন হবে, ট্রেড থেকে সম্ভাব্য লাভকে ছাড়িয়ে যাবে, বিশেষ করে সাম্প্রতিক দিনের অস্থিরতা বিবেচনা করে যা মুভমেন্টের সম্ভাব্য মোমেন্টামকে স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে। সুতরাং, যখন বাজারের পটভূমি আজ শক্তিশালী ছিল, এটি মূলত অর্থহীন ছিল।
বৃহস্পতিবার ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:30-মিনিটের টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের সংশোধন শুরু হয়েছে কিন্তু বেশিরভাগই ক্ষেত্রে সাইডওয়েজ মুভমেন্ট হয়েছে। মূল্যের দৈনিক মুভমেন্ট বেশ বিশৃঙ্খল রয়ে গেছে, তবুও নিম্নমুখী প্রবণতা বেশ স্বতন্ত্র। এই সপ্তাহে, এই পেয়ার আবার সংশোধন করার চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু সামগ্রিকভাবে, আমরা EUR/USD পেয়ার থেকে যেমনটি আশা করি এই পেয়ারের থেকেও তেমনটি আশা করছি - পুনরায় দরপতনের সূচনা। আগামীকাল 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, উল্লিখিত লেভেলের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিং করা যেতে পারে 1.2307, 1.2372, 1.2457-1.2488, 1.2544, 1.2605-1.2620, 1.2653, 1.2688, 1.2748, and 1.2787-1.2791। একটি ট্রেডে মূল্য 20 পয়েন্ট সংশোধন করলে, একটি ব্রেকইভেন স্টপ লস সেট করা যেতে পারে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনার পূর্বাভাস নেই, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিনটি স্বল্প-গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন রয়েছে: বেকারত্বের আবেদন, উৎপাদক মূল্য সূচক এবং খুচরা বিক্রয়। এই পেয়ারের স্ট্রর্ক সাইডওয়েজ মোশন বিবেচনা করে, আমরা আগামীকাল এর থেকে কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টের বা স্পষ্ট প্রবণতার দেখতে পাওয়ার আশা করছি না।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:1) সংকেত গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সংকেতের শক্তি নির্ধারণ করা হয় ( রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সংকেত তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি কৃত্রিম সংকেতের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সংকেত উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক কৃত্রিম সংকেত তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি বন্ধ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সংকেত ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সংকেত। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুনদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।