শুক্রবার, GBP/USD পেয়ার নিম্নমুখী প্রবণতায় ট্রেড করেছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিয়েছে। টানা দুই দিন ধরে, এই পেয়ারের মূল্যের প্রায় অনুরূপ মুভমেন্ট দেখা গেছে। গত বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, দেশটির আর্থিক নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি টানা চৌদ্দ বারের মতো সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাইহোক, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির অবস্থান বাজারের ট্রেডারদের প্রত্যাশার মতো অকপট ছিল না। যাইহোক, এটি শুক্রবারের পরিস্থিতির সাথে প্রাসঙ্গিক নয়। শুক্রবার, ননফার্ম পে-রোলের দুর্বল প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল ও শক্তিশালী বেকারত্বের হারের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, কিন্তু বাজারের ট্রেডাররা শুধুমাত্র ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের প্রতি মনোযোগ দিয়েছে, যার কারণে মার্কিন ডলারের দরপতন ঘটে। সময়ে সময়ে সংশোধনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে, তাই বাজারের ট্রেডাররা সর্বদা যৌক্তিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় না, সুতরাং এটি নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করার দরকার নেই। উপসংহারটি ইউরোর মতোই: মূল জিনিসটি হল 11 মাস ধরে চলমান সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পুনঃপ্রবর্তন এড়ানো।
30-মিনিটের চার্টে এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ড লাইনের উপরেও স্থির হয়েছে, তাই পাউন্ডের মূল্য কিছু সময়ের জন্য বাড়তে পারে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত, আমরা আশা করি এই পেয়ার নতুন করে দরপতনের অভিজ্ঞতা পাবে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট5 মিনিটের চার্টে বেশ কয়েকটি সংকেত তৈরি হয়েছিল। মার্কিন প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এই পেয়ারের মূল্য 1.2688 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে এবং তারপরে প্রকাশের সময়ই আবারও একই ঘটনা ঘটে। ট্রেডাররা এই সংকেতটি কার্যকর করতে পারে, বিশেষ করে যেহেতু প্রতিবেদনগুলোর কারণে এখনও আমাদের ডলারের দরপতনের আশা রয়েছে৷ পরে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2748 লেভেল অতিক্রম করে, এবং তারপরে এটি থেকে মূল্য উপরে থেকে দুবার রিবাউন্ড করে। এইভাবে, নতুনদের লং পজিশন বন্ধ করার প্রচুর সুযোগ ছিল। ট্রেড থেকে লাভের পরিমাণ ছিল কমপক্ষে 70 পিপস।
সোমবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:30-মিনিটের চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের স্বল্প-মেয়াদী নিম্নমুখী প্রবণতা সমাপ্ত হয়েছে। এই সপ্তাহে প্রযুক্তিগত চিত্র নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে তা বলা সম্পূর্ণরূপে সঠিক নয়। এখন, পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী সংশোধন হতে পারে, তবে এই পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা কম। আমরা আশা করি পাউন্ডের দর কমে যাবে, কারণ আমরা এখনও বিশ্বাস করি এটি অতিরিক্ত কেনা হয়েছে এবং এটি অযৌক্তিকভাবে ব্যয়বহুল। 5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2538, 1.2597-1.2605, 1.2653, 1.2688, 1.2748, 1.2801, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2981-1.2993, 1.3043। একটি ট্রেড খোলার পর মূল্য 20 পিপ সঠিক দিকে চলে গেলে, আপনি ব্রেকইভেন-এ স্টপ-লস সেট করতে পারেন। সোমবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা রিপোর্ট নেই, তাই আমাদের আরেকটি স্বল্প-অস্থিরতার দিনের জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত করা উচিত যেখানে কোনও প্রবণতা থাকবে না।
ট্রেডিং সিস্টেমের সাধারণ নীতিমালা:1) সংকেত গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সংকেতের শক্তি নির্ধারণ করা হয় ( রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সংকেত তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি কৃত্রিম সংকেতের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সংকেত উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট ট্রেডিংয়ের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক কৃত্রিম সংকেত তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি বন্ধ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সংকেত ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সংকেত। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুনদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।