মার্কিন ঋণ সংকট এবং আরও সুদের হার বৃদ্ধির কারণে বাজার আরেকটি সংকটের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে

বাজারের ট্রেডাররা মার্কিন সরকারের ঋণ সংকট নিয়ে রাজনৈতিক স্থবিরতার সমাধানের জন্য অপেক্ষা করছে। যাইহোক, জুনের বৈঠকে সুদের হারের বিষয়ে ফেডারেল রিজার্ভের সিদ্ধান্তের দিকে ধীরে ধীরে সবার নজর স্থানান্তরিত হচ্ছে।

জেমস বুলার্ড গত সোমবার তার বক্তৃতায় মূল সুদের হার 0.25% থেকে 5.50% বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছিলেন, যখন তার সহকর্মী, নীল কাশকারি, জুনের সভায় সুদের হার কতটা বাড়ানো উচিত সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট ছিলেন না। এই সবই ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেনের পূর্ব সতর্কতার সাথে সম্পর্কিত, যখন তিনি বলেছিলেন যে যদি বিরোধী দল ঋণের সর্বোচ্চ সীমা বাড়ানোর বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে 1 জুন সরকারী ঋণের উপর ডিফল্ট বা দেউলিয়াত্বের ঘোষণা করা হতে পারে।

বাজারে হতাশাবাদীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা ট্রেজারি বন্ডের গতিশীলতার দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রদর্শিত হয়, যেখানে 10-বছরের বন্ডের ইয়েল্ড দীর্ঘস্থায়ী কনসলিডেশন পর্ব থেকে 3.728% এ দাঁড়িয়েছে। সম্ভবত, এটি সরকারি ঋণ খেলাপি হওয়ার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি যা বিনিয়োগকারীদের শংকিত করছে, তাই অনেকেই ট্রেজারি বন্ড বিক্রি করা শুরু করে। এটি আশ্চর্যের কিছু নয় কারণ যদি সত্যিই ডিফল্ট ঘোষণা করা হয়, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হবে না, যা বিনিয়োগকারীদের হতাশ করছে। বিভিন্ন কোম্পানির স্টকের চাহিদাও হ্রাস পাবে, যখন নিরাপদ বিনিয়োগস্থলখ্যাত সম্পদের চাহিদা, প্রাথমিকভাবে স্বর্ণের চাহিদা বাড়বে বলে আশা করা যেতে পারে।

যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারি ঋণ এবং ফেডের আর্থিক নীতিমালা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত ICE সূচকে ডলার 101.00-105.00-এর মধ্যে ওঠানামা করবে। এর মুভমেন্ট মূলত নির্ভর করবে ঋণের সর্বোচ্চ সীমা বাড়ানো হবে বা ডিফল্ট ঘোষণা করা হবে কিনা, সেইসাথে ফেড মূল সুদের হার 0.25% থেকে 5.50% বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয় কিনা।

যদি ডিফল্ট ঘোষণা না করা হয় এবং সুদের হার না বাড়ে, ডলারের দরপতন পুনরায় শুরু করবে। এই ক্ষেত্রে, ICE সূচক 101.00-105.00 এ রেঞ্জের নিম্ন সীমানায় নেমে যেতে পারে। কিন্তু উল্টোটা ঘটলে, সূচক 105.00-এর উপরে উঠবে।

আজকের পূর্বাভাস:

EUR/USD

এই পেয়ার বর্তমানে 1.0790 লেভেলে ট্রেড করছে। যদি মূল্য এই স্তরের নিচে ব্রেক করে চলে যায়, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নেতিবাচক ব্যবসায়িক কার্যকলাপ (PMI) ডেটার আলোকে, তাহলে 1.0700-এর দিকে দরপতন দেখা যাবে।

GBP/USD

এই পেয়ারের মূল্য 1.2390 এর স্তরে পৌঁছেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উত্পাদন এবং পরিষেবা উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবসায়িক কার্যকলাপে হ্রাস অবশ্যই এই পেয়ারের কোটকে 1.2340-এ ঠেলে দেবে।