আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সোমবার বলেছে যে মূল সুদের হারের সাম্প্রতিক বৃদ্ধি সাময়িক হতে পারে। একবার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসলে, উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলো মুদ্রানীতি শিথিল করবে এবং মূল সুদের হার প্রাক-মহামারী স্তরে ফিরিয়ে আনবে।
এর অর্থ হল গত দশকের পর মুদ্রা নীতিমালায় সবচেয়ে আক্রমনাত্মকভাবে কঠোরতা আরোপের পর, সুদের হার ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে এবং উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোতে সুদের হার শূন্যের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও সুদের হার কমবে।
এই বিশ্লেষণটি আইএমএফ সর্বশেষ বিশ্ব অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির অংশ হিসাবে প্রকাশ করেছে।
আইএমএফ উল্লেখ করেছে যে উন্নত অর্থনীতিতে মূল সুদের হার কম থাকে, যখন উদীয়মান বাজার অর্থনীতিগুলো হ্রাস পেতে থাকে।
স্বাভাবিক সুদের হার হল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলোর জন্য মানদণ্ড, যা তাদের মুদ্রানীতির অবস্থান মূল্যায়ন করতে এটি ব্যবহার করে।
এটি রাজস্ব নীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সরকারগুলো সাধারণত কয়েক দশক ধরে ঋণ পরিশোধ করে এবং দীর্ঘমেয়াদে মূল সুদের হার একটি নোঙ্গর হিসাবে কাজ করে যা ঋণ গ্রহণের খরচ এবং সরকারী ঋণের স্থায়িত্ব নির্ধারণে সহায়তা করে।
এই ফলাফল ব্যাঙ্কিং উদ্বেগের সাথে যুক্ত চাপ কিছুটা কমিয়ে দেয়। উচ্চ সুদের হারের মধ্যে ব্যাংকিং সঙ্কটের কারণে ঋণের শর্ত এবং ঋণের খরচ কঠোর হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে।
মুদ্রানীতির পরবর্তী শিথিলকরণের ফলে সরকার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কম খরচে ঋণ নিতে পারবে।
আইএমএফের গবেষণা অনুযায়ী, 2023 সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি 3 শতাংশের নিচে থাকবে এবং আগামী পাঁচ বছর এই স্তরেই থাকবে। এটিকে অর্থনীতির দুর্বল অবস্থার পূর্বাভাস বলে মনে করা হচ্ছে। 2023 সালে, ভারত এবং চীনে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির অর্ধেক সংঘটিত হবে, যখন উন্নত অর্থনীতির আনুমানিক 90% দেশগুলোর প্রবৃদ্ধির হারে মন্থরতা দেখা যাবে।