অর্থনৈতিক মন্দার ক্রমবর্ধমান আশঙ্কা স্টক মার্কেটে আরেকটি বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেড, ব্যাংক অভ ইংল্যান্ড এবং ইসিবি কর্তৃক 0.50% হার বৃদ্ধি কোন আশ্চর্যের বিষয় ছিল না। কিন্তু বিনিয়োগকারীরা বুঝতে পেরেছিল যে বুলিশ প্রবণ্টা বজায় থাকার আর কোন বাধ্যতামূলক কারণ নেই, তাই তারা তাদের আগের মুনাফা নিয়ে লেনদেন বন্ধ করে দেয়, যার ফলে দুই সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ দরপতন ঘটেছে।
সোমবার প্রায় সম্পূর্ণ নেতিবাচক গতিশীলতার আরেকটি কারণ হল র্যালি শুরু করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা। মার্কিন স্টক সূচকসমুহে ব্যাপক দরপতনের সাথে লেনদেন শেষ হয়েছে এবং এই দরপতন আজকের মার্কিন সেশন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এটারও সম্ভাবনা রয়েছে যে এই দরপতন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রসারিত হবে, কারণ তখন আরেকটি সংশোধিত মার্কিন জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। পূর্বাভাসে জানা গেছে দেশটির জিডিপি 2.9% বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও সামনে ব্যক্তিগত খরচের মূল্য সূচক প্রকাশিত হবে, যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। টেকসই পণ্যের অর্ডারের প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে, যা মাসিক ভিত্তিতে বৃদ্ধির হারে মন্থরতা প্রদর্শন করতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিতব্য পরিসংখ্যান প্রত্যাশা অনুযায়ী হলে, স্টক মার্কেট বাউন্স হতে পারে কারণ বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক সস্তা স্টক কিনতে শুরু করবে, বিশেষত রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে মুনাফা অর্জন করার আশায়। কিন্তু প্রতিবেদনগুলো প্রত্যাশার চেয়ে নেতিবাচক হলে, নতুন শক্তিশালী নিম্নমুখী ওয়েভ দেখা দেবে, যা মূল্যের সাম্প্রতিক স্থানীয় নিম্নস্তরে পৌঁছানোর কারণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে, ডলার শক্তিশালী হবে কারণ আবারও বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা প্রবল হবে।
আজকের পূর্বাভাস:
AUD/USD
বিশ্বব্যাপী মন্দার ক্রমবর্ধমান আশঙ্কার কারণে ঝুঁকির গ্রহণের প্রবণতা কমে যাওয়ায় এই পেয়ারের মূল্য 0.6680-এর নিচে নেমে গেছে। এই অনুভূতি অব্যাহত থাকলে, এই পেয়ারের কোট 0.6540 এর দিকে পতন অব্যাহত রাখতে যেতে পারে।
XAU/USD
স্বর্ণের ক্রমাগত চাহিদা এই পেয়ারের মূল্যকে 1774.50-1808.65 রেঞ্জের মধ্যে ধরে রেখেছে। সম্ভবত, এই পেয়ারের মূল্য আপাতত এই স্তরগুলোর মধ্যে থাকবে।