ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রতিবেদনের পর GBP/USD পেয়ারে ধ্বস নেমেছে

ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদনে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির লক্ষণীয় অবনতি হওয়ার সংবাদের পর পাউন্ডের মূল্য বার্ষিক সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে।এরূপ পরিস্থিতির মূল কারণ হচ্ছে জ্বালানি পণ্যের দাম বৃদ্ধি, যা বিশ্বজুড়ে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি বয়ে নিয়ে এসেছে। যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করেছে যে জ্বালানি মূল্যের অস্থিরতা সরবরাহ শৃঙ্খলে আরও ব্যাঘাত ঘটার ঝুঁকি তৈরি করেছে, যা ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে আরও সুদের হার বৃদ্ধির কারণে অর্থনীতি "গভীর" মন্দার মধ্য দিয়ে যাবে কিনা তা নির্ধারণ করতে কর্মকর্তারা সেপ্টেম্বরে স্ট্রেস টেস্ট বা সহ্যক্ষমতা পরিচালনা করবেন। ব্যাংকটির প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি এবং ঋণের ব্যয় বৃদ্ধি হলেও, বেশিরভাগ পরিবার এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এই সমস্যা এখনও মোকাবেলা করতে সক্ষম। যুক্তরাজ্যের বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণ পরিষেবাও সাশ্রয়ী রয়ে গেছে, কিন্তু উচ্চ সুদের হার এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ক্রমাগত সরবরাহ শৃঙ্খল বাধা কর্পোরেট খাতে লাভের উপর চাপ সৃষ্টি করবে। মজুরি বৃদ্ধি এবং সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ দুর্বল ঋণগ্রহীতাদের সংখ্যা বজায় রেখে পরিবারগুলির উপর চাপ কমিয়ে দেবে।

GBP/USD পেয়ারের মূল্য বর্তমানে 2020 সালের সর্বনিম্ন স্তরের দিকে যাচ্ছে। এই পেয়ারের মুল্য 1.1900 -এ ব্রেকডাউন করলে 1.1860, 1.1820 এবং 1.1740-এ আরও পতনের দিকে নিয়ে যাবে। অন্যদিকে মূল্য 1.1970-এর উপরে বৃদ্ধি পেলে পেয়ারটি 1.2020, 1.2070 এবং সম্ভবত 1.2120-এর দিকে ঠেলে দেবে।