যদিও মার্কিন সিনেটের ব্যাংকিং কমিটির কাছে ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের প্রতিবেদন বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি, তবে তা প্রবৃদ্ধিতেও অবদান রাখে নি। এর কারণ হলো তার বক্তব্য ব্যাংকের আসন্ন পরিকল্পনা নিশ্চিত করেছে যে আগামী মাসেও অন্তত আক্রমনাত্মকভাবে সুদের হার বাড়ানো অব্যাহত থাকবে। যেহেতু এটি ইতোমধ্যেই গত সপ্তাহে ফেড মিটিং শেষে ঘোষণা করা হয়েছিল, তাই বাজারগুলি খুব বেশি প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
এখন, সমস্ত মনোযোগ জার্মানি, ইউরোপ, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন ব্যবসায়িক কার্যকলাপের প্রতিবেদনের উপর নিবদ্ধ করা হয়েছে, কারণ সেগুলি বিনিয়োগকারীদের ধারণা দেবে যে মন্দা শুরু হয়েছে কিনা। কর্তৃপক্ষ প্রতিটি সম্ভাব্য উপায়ে এটি অস্বীকার করেছে, এবং আর্থিক বাজারে এর প্রভাব দুর্বল করার চেষ্টা করছে। যাইহোক, অবিশ্বাস্যভাবে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং সুদের হার বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে দীর্ঘমেয়াদী সংকটের দিকে ঠেলে দেবে।
সংক্ষেপে, যদি পরিসংখ্যান বৃদ্ধি দেখায়, স্টক মার্কেটগুলি উত্থিত হবে, ফলস্বরূপ, ডলার এবং ট্রেজারি ফলনের উপর চাপ সৃষ্টি করবে। ঝুঁকির ক্ষুধাও ফিরে আসবে। কিন্তু যদি পরিসংখ্যান যদি প্রত্যাশার চেয়ে খারাপ হয়, তাহলে বাজারের মনোভাব পরিবর্তিত হবে, যার ফলে স্টক মার্কেটের হ্রাস ঘটবে এবং ফলস্বরূপ, ডলারের চাহিদা এবং ট্রেজারি ফলন বৃদ্ধি পাবে।
আজকের পূর্বাভাস:
যদিও GBP/USD পেয়ার বর্তমানে 1.2220 স্তরের উপরে ট্রেড করছে, তবে যুক্তরাজ্যের নেতিবাচক পরিসংখ্যান এটিকে 1.2160 স্তরে নামিয়ে আনবে।