রাশিয়ায় স্বর্ণের লেনদেন নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র

পশ্চিমা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। দেশটি বিশাল স্বর্ণের মজুদ ব্যবহার করতে পারছে না।

বৃহস্পতিবার, রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন কর্তৃক স্বাক্ষরিত ডিক্রির উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ একটি নোটিশ জারিপূর্বক স্পষ্ট করে রাশিয়ায় স্বর্ণের লেনদেন নিষিদ্ধ করার বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে যে মার্কিন নাগরিকদের রাশিয়ার সাথে স্বর্ণ বিষয়ক লেনদেনে জড়িত হতে নিষেধ করা হয়েছে।

এই নোটিশের আগে, রাশিয়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়াতে তাদের স্বর্ণের মজুদ ব্যবহার করে আসছিল।

কিছু বিশ্লেষকদের মতে, হালনাগাদকৃত নির্দেশনা রাশিয়ার পক্ষে অর্থনীতিকে সমর্থন প্রদান জন্য সোনার মজুদের ব্যবহার কঠিন করে তুলবে। যাইহোক, দেশটির জন্য স্বর্ণের মজুদের ব্যবহার একবারে অসম্ভব নয়।

রাশিয়ার কাছে বর্তমানে 2,298.5 টন স্বর্ণ মজুদ রয়েছে। স্বর্ণ মজুদের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি বিশ্বের পঞ্চম স্থানে রয়েছে। রাশিয়ার কাছে প্রায় $140 বিলিয়ন ডলার মূল্যের স্বর্ণ রয়েছে বলে অনুমান করা হয়।

এসআইএ ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের প্রধান বাজার কৌশলবিদ কলিন সিজিনস্কির মতে, রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের মিত্ররা তাদের স্বর্ণ কিনতে পারে। রাশিয়ার উপর আরোপিত সমস্ত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পশ্চিমা অর্থব্যবস্থার ভবিষ্যত এবং রিজার্ভ কারেন্সি হিসাবে মার্কিন ডলারের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

এদিকে, সোনার দাম দৃঢ়ভাবে $1,900 নিচে অবস্থান করছে:

সিজিনস্কি আরও বলেন যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অন্যান্য দেশগুলোকে মার্কিন ডলারের উপর তাদের নির্ভরতা কমাতে উৎসাহিত করতে পারে, এক্ষেত্রে সোনা সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিকল্প হতে পারে।

উপরন্তু, ইউক্রেনের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি অনিশ্চিত পরিবেশ তৈরি করেছে, ফলে নিরাপদ বিনিয়োগস্থল হিসাবে মূল্যবান এই ধাতুর চাহিদা বেড়েছে।