মুহূর্তেই মূল্য বৃদ্ধি!

ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি মধ্যেই স্বর্ণের মূল্য ধারাবাহিকভাবে আউন্স প্রতি $1,900-এর উপরে রয়েছে। স্বর্ণের এরকম মূল্য সর্বশেষ ২০১১ সালে দেখা গিয়েছিল। সেসময় স্বর্ণের মূল্য দৃঢ়ভাবে $1,900 -এর উপরে ছিল, ট্রেডিং সেশনে $1,918.50-এ স্বর্ণের লেনদেন করা হয়েছিল।

ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে সৈন্য পাঠানোর মত রাশিয়ার সাম্প্রতিক পদক্ষেপসমূহ দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে। গত দুই দিন ধরে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো একত্রে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে শুরু করেছে। এবং ইউক্রেনের উপর আজকের আক্রমণের পর সোনার দাম বেড়ে প্রতি আউন্স 1,950 মার্কিন ডলার হয়েছে।

ন্যাটো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউনাইটেড ফ্রন্ট হিসাবে কাজ করেছে, জার্মানি নর্ড স্ট্রিম-2 গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণরত রাশিয়ার কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

অপরিশোধিত তেলের দামও বেড়েছে এবং 2014 সালের পর সর্বোচ্চ মূল্যে ট্রেড করছে।

এটি অবশ্যই মুদ্রাস্ফীতির চাপকে প্রভাবিত করবে, কারণ অপরিশোধিত তেল এবং পেট্রোলের বাড়তি মূল্য মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ ছিল।

ইউক্রেনের সামরিক পরিস্থিতি এবং সাধারণভাবে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির ফলেও মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়বে।

প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে, স্বর্ণের রেসিস্ট্যান্স প্রায় 1,960 ডলারের স্তরে রয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও, বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির উদ্বেগ এবং ইউক্রেনের প্রতি রাশিয়ার পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো শক্তিশালী পুলব্যাক অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে।

ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সোনা ও তেলের দাম বেশি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।