গত শুক্রবার মার্কিন শেয়ারবাজারে বেয়ারিশ প্রবণতার ফলে দরপতন হয়েছে। NASDAQ সূচকের 287 পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে, S&P 500 সূচকে 63 পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে, এবং ডাও জোন্স সূচকে 329 পয়েন্ট কমেছে। চলতি বছর মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক গৃহীত কঠোর নীতিমালা আরোপের পদক্ষেপের কারণে এই দরপতন ঘটেছে। এটি খুব বেশ আশ্চর্যজনক বিষয় নয় যে, মার্কিন পুঁজিবাজার ইতিমধ্যেই কঠোর আর্থিক নীতিমালা আরোপের বিপরীতে প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে। পাশাপাশি, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এখনও সম্পদ ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা আরোপ করেনি। নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠী কেবল প্রণোদনা কার্যক্রম QE প্রোগ্রামের অর্থায়ন মাসিক ভিত্তিতে $45 বিলিয়ন কমিয়েছে। সুতরাং মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশটির অর্থনীতিতে নগদ অর্থ প্রবাহের কার্যক্রম চালু রাখবে। যার ফলে ট্রেডাররা ফেডারেল রিজার্ভের গৃহীত পদক্ষেপের প্রতি কোন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। পাশাপাশি, ট্রেডাররা ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে যে চলতি বছরে অর্থনীতির জন্য কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। যে কারণে নতুন বছরের শুরু থেকেই পুঁজিবাজারের সূচকে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। তদুপরি, দীর্ঘমেয়াদে শেয়ারের মূল্য ১০%-এর বেশি পতনের আশংকা রয়েছে।
2022 সালে ফেডারেল রিজার্ভের নীতিমালা সংক্রান্ত আলোচনা সভা সম্ভবত এই মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হয়ে উঠবে। ট্রেডাররা নিশ্চিত যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা QE প্রোগ্রাম থেকে আরও $30 বিলিয়ন ছাঁটাই করবে এবং মার্চ মাসে এই প্রণোদনা কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে সমাপ্ত ঘোষণা করা হবে। এই বিষয়টি পুঁজিবাজারে আরও বড় ধাক্কা নিয়ে আসতে পারে। উল্লেখযোগ্যভাবে, আরেকবার জানুয়ারী মাসের অনুরূপ মাত্রায় দরপতন হতে পারে। সর্বোপরি, কেন্দ্রীয় ব্যাংক মার্চের প্রথম দিকে সুদের হার বাড়াতে পারে। তবে, সবাই গুজবের পরিবর্তে আসল সংবাদের ব্যাপারে বেশি আগ্রহী। আমরা যা করতে পারি তা হল চলতি বছরে মার্কিন পুঁজিবাজারের সম্ভাব্য পতনের পূর্বাভাস দিতে পারি। ফেডের নীতিমালা সংক্রান্ত বৈঠকে শুধুমাত্র সুদের হারের ব্যাপারে সিদ্ধান্তের উপর নয়, সংস্থাটির চেয়ার পাওয়েলের মন্তব্যের উপরও নজর থাকবে। বর্তমানে শুধুমাত্র অল্প কয়েকজন বিনিয়োগকারী ধারনা করতে পারছেন যে অন্তত 3-4 বার সুদের হার বৃদ্ধি পেতে চলেছে৷ পাশাপাশি, মিঃ পাওয়েল প্রথমবারের মতো হার বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছেন কিন্তু খোলাখুলিভাবে এটি সম্পর্কে এখনও কথা বলেননি। প্রকৃতপক্ষে, তার অন্যান্য সহকর্মীদের তুলনায় তিনি প্রতিবার কথা বলার ক্ষেত্রে বেশ সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করেন। কারণ, পাওয়েলের অমুলক বা অযাচিত কোন মন্তব্য পুঁজিবাজারের লেনদেনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। এছাড়া বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সিতে সম্প্রতি বিয়ারিশ প্রবণতা লক্ষ্য করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, নীতিমালা কঠোর করার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদগুলি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। যে কারণে, জানুয়ারিতে ক্রিপ্টোর দরপতন ঘটেছে।